اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ (*) خَلَقَ الْإِنْسَانَ مِنْ عَلَقٍ (*) اقْرَأْ وَرَبُّكَ الْأَكْرَمُ (*) الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ (*)عَلَّمَ الْإِنْسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ

Monday, 7 September 2015

অধ্যক্ষ মহোদয়ের বাণী



প্রায় অর্দ্ধশত বছরের ঐতিহ্যবাহী একটি প্রতিষ্ঠান হাতিযর বহুমুখি কামিল মাদ্রাসা , যা’ ১৯৫১ সালে  প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দাখিল স্তরের শিক্ষা বিস্তারে  সরকারি বিধি মোতাবেক শিক্ষার জাতীয় লক্ষ্য  বাস্তবায়নে সবর্দা সচেষ্ট রয়েছে । সকল মানুষ তাদের সন্তানদেরকে নিজ পরিবার ও সমাজের প্রয়োজনে , জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনে দায়িত্ব পালনে সক্ষম করে গড়ে তোলার চেষ্টা করেন । তাই বাবা- মা নিজেদের জীবনের কষ্টের বিনিময়ে সন্তানকে  সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সযত্নে লালন – পালন করেন । এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সকল অভিভাবকের স্বপ্ন পূরণে তাদের সন্তানদেরকে যথাযথ শিক্ষা দিয়ে উপযুক্ত গুণাবলীর অধিকারি করে গড়ে তোলেন শিক্ষকগণ। শিক্ষার্থীদের বয়স অনুযায়ি শ্রেণি উপযোগী যোগ্যতা অর্জনে সকল প্রকার শিক্ষানুকুল সহযোগিতামূলক দায়িত্ব পালনে এ প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত আছেন একঝাঁক উচ্চ শিক্ষিত, অভিজ্ঞ, সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির ওপর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত  ও দক্ষ বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ শিক্ষক । প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে আমি মনে করি , শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসে-
 ‘‘ তা’  জানতে , যা’ তারা জানতো না ;
 তা’ শিখতে , যা’ তারা শিখতে পারতো না ;
 তা’ বুঝতে, যা’ তারা বুঝতে পারতো না ;
 তা’ পারতে, যা’ তারা করতে পারতো না ।’’              
নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের এ প্রত্যাশা পূরণে এ প্রতিষ্ঠানে প্রতি ২০ ( বিশ ) জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক দায়িত্ব পালন করছেন । তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহার করে উন্নত কৌশলে শ্রেণি পাঠদান ও মূল্যায়ন দ্বারা সকল শিক্ষার্থীকে শ্রেণি উপযোগী যোগ্যতা অর্জনে সক্ষম করে তুলতে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ সর্বদা বহুমুখি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছেন । তন্মধ্যে- শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ , তাদের দিনের কাজ দিনেই শেষ করতে প্রয়োজনীয় সহায়তাকরণ , হোম ভিজিটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের পরিপূর্ণ প্রস্তুতি ও বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণ , শ্রেণি পাঠনা অধিকতর আকর্ষনীয় আর ফলপ্রসূ করতে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি ও প্রজেক্টর ব্যবহারকরণ , শিক্ষার্থীদের বহুমুখি প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় লাগসই প্রযুক্তি  ও কৌশল প্রয়োগের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় দিবসে সরকারি কর্মসূচির অনুরূপ কর্মসূচি পালনসহ নানা প্রকার প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজনকরণ , এতে কৃতিত্ব প্রদর্শনকারি শিক্ষার্থীদেরকে পুরস্কৃতকরণ , শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দানে সক্ষম ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গ্রুপওয়ার্ক করানো , তুলনামূলকভাবে বেশি সক্ষম শিক্ষার্থীদেরকে তাদের অর্জিত যোগ্যতা ও দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য ডিসপ্লে বোর্ড ব্যবহার করে স্বাধীনভাবে পারফর্ম করতে দেয়া, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাইল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত তাদের অর্জিত শিক্ষার গুণগত মানের অগ্রগতির ধারাবাহিক প্রতিবেদন রেকর্ডভুক্তকরণ , সাড়া বছর ব্যাপি তাদের সকল কাজের মূল্যায়ন দ্বারা মেধাস্থান নির্ণয় করে তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কৃতকরণ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য ।
বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিষদের সম্মানিত সভাপতির দিকনির্দেশনায় ,অন্যান্য সদস্যদের সহযোগিতায় উচ্চ শিক্ষিত, দক্ষ , সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারি , আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শি উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানের নেতৃত্বে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সকল পাবলিক পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জিপিএ ৫ অর্জনসহ প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করে চলেছে । এ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে শিক্ষার্থী নিঃসন্দেহে শ্রেণি উপযোগি যোগ্যতা অর্জন করেই বের হয়ে যাবে । এ সত্যকে বাস্তবে রূপায়িত করতে এ প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ।

সম্মানিত অভিভাবক ও সুধিবৃন্দ, আপনাদের পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম , সমাজ ও জাতির প্রয়োজনে দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত আর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ গঠনে প্রতিশ্রুতিশীল সুনাগরিক হিসেবে আপনাদের সন্তান সুখি সমৃদ্ধ জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবে – এ লক্ষ্য অর্জনে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ নিরবিচ্ছিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন । তাই, আর বিলম্ব নয় । আপনাদের সন্তানদেরকে বয়স ও পারগতা অনুযায়ি অবিলম্বে এ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে দিয়ে তাদের সুখি সমৃদ্ধ উন্নত জীবন গঠনে আমাদের আন্তরিক সেবা আর সহযোগিতা নিন । আমাদের সেবা , আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা আর শিক্ষার্থীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার সম্মিলনে নিশ্চয়ই পাল্টে যাবে দেশ-জাতি-সমাজের বিশৃঙ্খল দারিদ্র্যক্লিষ্ট এ দুরবস্থা । আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আপনাদের সন্তানেরা নিজগুণে পৌঁছে যাবে অভাবমুক্ত শান্তিময় উন্নত ভবিষ্যতের শ্রেষ্ঠ ঠিকানায় , হাসিমাখা মুখ চিরসাথী হয়ে থাকবে তাদের সাড়া জীবনের পথ পরিক্রমায় – এটাই আমাদের প্রত্যাশা । বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সুন্দর , সুখি ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়তে অত্র এলাকার সকল স্তরের মানুষের সচেতনতা ও সহায়তা প্রয়োজন । সবার জন্য গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে ক্ষুধা, সন্ত্রাস আর দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা ; শিক্ষিত ও সুশৃঙ্খল জাতি গঠন করে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে নাগরিক দায়িত্ব পালন করতে আমি সুশীল সমাজসহ সকল স্তরের মানুষের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি ।

    
                                                                                                                              অধ্যক্ষ
                                                                                                                    হাতিয়র কামিল মাদ্রসা
          

 
Design by Wordpress Theme | Bloggerized by Free Blogger Templates | Best Buy Printable Coupons